Pages

Ads 468x60px

Monday, January 23, 2012

মদনটাকের ঘরে নতুন অতিথি

সদ্যোজাত ছানার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা মদনটাক। ছবিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থ সদ্যোজাত ছানার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা মদনটাক। ছবিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে তুলেছেন জাহিদুল করিম
নতুন বছরের শুরুতেই নতুন অতিথি এসেছে ঢাকা চিড়িয়াখানায়। ডিম ফুটে এক জোড়া বাচ্চা হয়েছে মদনটাক দম্পতির। বাবা-মায়ের আদরে বেশ ভালো আছে ছানা দুটো।
এই মদনটাক দম্পতি ঢাকা চিড়িয়াখানায় আছে ১৯৯৭ সাল থেকে। এবারই প্রথম এদের উত্তর প্রজন্ম ঘরে এল। গত বছর ১১ ডিসেম্বর স্ত্রী মদনটাক ডিম দেয় এবং এ বছর ৯ জানুয়ারি ডিম ফুটে ছানা দুটোর জন্ম। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এ বি এম শহীদ উল্লাহ জানান, চিড়িয়াখানায় মদনটাকের ছানা হওয়ার ঘটনা এ-ই প্রথম। মদনটাক স্বল্প জলাভূমিতে চরে বেড়ায়। প্রধান খাদ্য মাছ। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Lesser Adjutant। মদনটাক এখন সুন্দরবন এলাকায়ই কিছু টিকে আছে। সারা দেশে এদের তেমন চোখে পড়ে না, অস্তিত্ব বিপন্নের পর্যায়ে। মদনটাক বাংলাদেশে টিকে থাকা পাখিগুলোর মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়।
ছানা দুটির গায়ে এখন পালক গজাতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে ছোট মাছ খেলেও এখন এরা টাকি, নলা মাছের পাশাপাশি শামুক-গুগলিও খেতে শিখেছে।
কিউরেটর জানান, ২০১১ সাল ছিল চিড়িয়াখানায় পাখি ও প্রাণীদের প্রজননের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল বছর। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ প্রজাতির প্রাণী ও পাখির ৮০টি বাচ্চা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণীর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো: বাঘ, জলহস্তি, মেছোবাঘ, হনুমান, বানর এবং পাখির মধ্যে উটপাখি, নীল ময়ূর, সাদা ময়ূর ইত্যাদি। সব বাচ্চাই ভালোভাবে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ছানা ও শাবকের দাম প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে ২০১১ সালেই চিড়িয়াখানায় পাখি-প্রাণীর প্রজনন ও বাচ্চাদের টিকে থাকার হার সবচেয়ে বেশি।
গতকাল সোমবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, মা মদনটাক চঞ্চুতে মাছের টুকরো নিয়ে ছানাদের মুখে তুলে দিচ্ছে। ডানা ঝাপটে টলমলে পায়ে দাঁড়িয়ে মায়ের মুখ থেকে খাবার খাচ্ছে ছানারা। পরমানন্দ নিয়ে পাখিদের অপত্যস্নেহের দৃশ্যটি উপভোগ করছেন দর্শকেরা। নানার সঙ্গে সাত বছরের রিজমি নোয়াখালী থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছিল বাঘ-ভালুক দেখতে। কিন্তু এখানে এসে এত্ত বড় এক পাখির ছানাদের মায়ের ঠোঁট থেকে মাছ খেতে দেখে সে খুবই খুশি। prothom-alo
Reade more >>

Monday, January 16, 2012

নিমশাখায় সবুজ বাঁশপাতি

নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা
ছবি: লেখক

পাখিটার নাম সবুজ বাঁশপাতি। অঞ্চলভেদে লোকে সুইচোরা, নরুন চেরা—এসব নামেও ডাকে। পাখিটার ইংরেজি নাম Green Bee-eater। বৈজ্ঞানিক নাম Merops Orientalis। পাখি গবেষকদের মতে, এরা মেরোপিদি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এরা লম্বায় ২০ সেন্টিমিটার। ছিপছিপে গড়ন। গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল সবুজ। চঞ্চু কালো, একটু বাঁকানো। চোখের দুই পাশে কাজলরেখা ঘাড়ের সঙ্গে মিশেছে। চিবুক ও গলায় নীলের ছটা। গলার নিচে আছে নেকলেসের মতো একটা কালো টান। মাথা ও পিঠের ওপর অংশের পালক সোনালি। ডানার নিচে উজ্জ্বল তামাটে, যা শুধু ওড়াউড়ির সময়ে নজরে পড়ে। পায়ের রং কালচে। লেজের মাঝবরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত থাকে। পাখিটার মূল আকর্ষণ সেটাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পাখির লেজের অংশটুকু ডালের নিচ দিয়ে নেমে থাকায় তা ক্যামেরায় বন্দী করতে পারিনি। আমাদের দেশে সাধারণত চার প্রকারের বাঁশপাতি দেখা যায়—সবুজ বাঁশপাতি, পিঙ্গল মাথা বাঁশপাতি, নীললেজা বাঁশপাতি ও পাহাড়ি বড় বাঁশপাতি।
বাঁশপাতি মূলত মাছিভুক পাখি (অন্য পতঙ্গও খায়)। পতঙ্গ পাকড়ানোর কৌশল বেশ চমকপ্রদ। উড়ে গিয়ে খপ করে ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে গিলে ফেলে।
বাঁশপাতি শীতকালে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। বিদ্যুতের তারে অথবা শুকনো কঞ্চিতে ঘুরপাক খেতে খেতে এসে বসেই আবার উড়তে থাকে। বড় চঞ্চল। দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের প্রজনন সময় শীতের শেষে। বাঁশপাতি গাছে বাসা বানাতে পারে না। সাধারণত নদীর পাড়ে খাড়া জায়গায় সুড়ঙ্গের মতো গর্ত করে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৫-৭টি। রং ধবধবে সাদা। স্ত্রী-পুরুষ দুয়ে মিলে ২১-২৭ দিন ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। prothom-alo
Reade more >>