Pages

Ads 468x60px

Monday, January 16, 2012

নিমশাখায় সবুজ বাঁশপাতি

নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা
ছবি: লেখক

পাখিটার নাম সবুজ বাঁশপাতি। অঞ্চলভেদে লোকে সুইচোরা, নরুন চেরা—এসব নামেও ডাকে। পাখিটার ইংরেজি নাম Green Bee-eater। বৈজ্ঞানিক নাম Merops Orientalis। পাখি গবেষকদের মতে, এরা মেরোপিদি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এরা লম্বায় ২০ সেন্টিমিটার। ছিপছিপে গড়ন। গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল সবুজ। চঞ্চু কালো, একটু বাঁকানো। চোখের দুই পাশে কাজলরেখা ঘাড়ের সঙ্গে মিশেছে। চিবুক ও গলায় নীলের ছটা। গলার নিচে আছে নেকলেসের মতো একটা কালো টান। মাথা ও পিঠের ওপর অংশের পালক সোনালি। ডানার নিচে উজ্জ্বল তামাটে, যা শুধু ওড়াউড়ির সময়ে নজরে পড়ে। পায়ের রং কালচে। লেজের মাঝবরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত থাকে। পাখিটার মূল আকর্ষণ সেটাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পাখির লেজের অংশটুকু ডালের নিচ দিয়ে নেমে থাকায় তা ক্যামেরায় বন্দী করতে পারিনি। আমাদের দেশে সাধারণত চার প্রকারের বাঁশপাতি দেখা যায়—সবুজ বাঁশপাতি, পিঙ্গল মাথা বাঁশপাতি, নীললেজা বাঁশপাতি ও পাহাড়ি বড় বাঁশপাতি।
বাঁশপাতি মূলত মাছিভুক পাখি (অন্য পতঙ্গও খায়)। পতঙ্গ পাকড়ানোর কৌশল বেশ চমকপ্রদ। উড়ে গিয়ে খপ করে ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে গিলে ফেলে।
বাঁশপাতি শীতকালে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। বিদ্যুতের তারে অথবা শুকনো কঞ্চিতে ঘুরপাক খেতে খেতে এসে বসেই আবার উড়তে থাকে। বড় চঞ্চল। দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের প্রজনন সময় শীতের শেষে। বাঁশপাতি গাছে বাসা বানাতে পারে না। সাধারণত নদীর পাড়ে খাড়া জায়গায় সুড়ঙ্গের মতো গর্ত করে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৫-৭টি। রং ধবধবে সাদা। স্ত্রী-পুরুষ দুয়ে মিলে ২১-২৭ দিন ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। prothom-alo

0 comments:

Post a Comment