ছানা বুকে নিয়ে বাসায় বসে আছে লেজ নাচুনে পাখি
ছবি: মো. হানিফ
এমন আমুদে খেলুড়ে তথা ফুর্তিবাজ ও নাচুনে সুন্দরী পাখিটি যে প্রয়োজনে ধারণ করতে পারে রুদ্রমূর্তি, দুর্দান্ত সাহসে তেড়ে যেতে পারে শত্রুর দিকে, করতে পারে কুশলী আক্রমণ, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতে চায় না। এই বৈশিষ্ট্য যেন সম্পূর্ণ তার চরিত্রের বিপরীত। এই পাখিরা প্রজনন মৌসুমে নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত নৃত্যগীতে মাতোয়ারা হয় গাছের মোটা ডালের মঞ্চে, মানকচুর পাতার মঞ্চে, ঘরের চালার মঞ্চে প্রেমিক-প্রেমিকা মুখোমুখি হয়ে পাখার পালক ফুলিয়ে লেজের সুবিন্যস্ত ১২ খানা পালককে জাপানি পাখা বানিয়ে ওপরে তুলে এনে ধ্রুপদি নৃত্যে মেতে ওঠে—ঘুরে ঘুরে নাচে ও গান গায়। তাদের মনোমুগ্ধকর সেই নৃত্যগীত দেখার পর যদি দেখা যায় যে ওই দুটি পাখিই চেঁচিয়ে বাগান মাত করছে, দুটিতে পরিকল্পিতভাবে দুই পাশ থেকে তীরের ফলার মতো নেমে এসে একটি গুইসাপের পিঠে বা বনবিড়ালের পিঠে ঠোকর দিচ্ছে, তাহলে বিস্মিত হতে হয় বৈকি।
হ্যাঁ, জাপানি পাখার মতো লেজের পালক মেলতে পারা, গাছের ডালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে নেচে-গেয়ে মেতে থাকা এমন পাখি বাংলাদেশে আর আছে কি! প্রজনন মৌসুমে এই পাখিরা ঠিক যেন লাইলী-মজনু হয়ে যায়।
পাখিটির নাম নাচুনে, প্রয়োজনে লেজের পালকগুলোকে এরা জাপানি পাখা বানিয়ে ফেলতে পারে। নাম তাই লেজনাচুনে। বৈজ্ঞানিক নাম Rhipidura albicollis. মাপ ১৯ সেন্টিমিটার। এই পাখিটি আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে প্রতি মৌসুমে ২-১০টি বাসা করে। বাসা করত ছোট লেজনাচুনে বা নীলরাজা (Black-naped monarch) পাখিরা। স্বভাবে বাসা বাঁধার কৌশলে এই দুই জাতের পাখির মধ্যে খুবই মিল—মিল আছে খাদ্য তালিকায়ও। এ বছর (২০১১ সালের এপ্রিলে) আমাদের গ্রাম বাগেরহাটের সাতশৈয়ায় এই দুই জাতের বাসা দেখলাম ১৯টি।
লেজনাচুনেদের পছন্দ ছায়া ছায়া মায়া মায়া বনবাগান। এরা সারা দেশেই আছে। খাদ্য মূলত পোকা-মাকড়। বাসা করে খুব সুন্দর। গাছের সরু ডালে বা বাঁশের নুয়ে পড়া কঞ্চিতে। বাসার নিচে লেজের মতো ঝুলে থাকে বাসার উপকরণ। ঝড়ে কঞ্চি-বাসা যতই দোল খাক, বাসার ডিম-ছানা ছিটকে পড়ে না। কেন পড়ে না? কুশলী ও বুদ্ধিমান পাখি এরা। পুরো শরীর কালচে, তাতে হালকা ধূসরের আভা। গলা ও চোখের ভ্রূ সাদা। চোখের পাশটা কালো, লেজের ডগা সাদা। চোখ-ঠোঁট কালো। ডিম পাড়ে তিনটি। ডিম যেন সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া। বাসার চারপাশেও এমন প্রলেপ দেখা যায় কখনো কখনো। আশপাশের কোনো পাখি বিপদে পড়লে এরা সাহায্যে এগিয়ে আসে।
হ্যাঁ, জাপানি পাখার মতো লেজের পালক মেলতে পারা, গাছের ডালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রেমিক-প্রেমিকা মিলে নেচে-গেয়ে মেতে থাকা এমন পাখি বাংলাদেশে আর আছে কি! প্রজনন মৌসুমে এই পাখিরা ঠিক যেন লাইলী-মজনু হয়ে যায়।
পাখিটির নাম নাচুনে, প্রয়োজনে লেজের পালকগুলোকে এরা জাপানি পাখা বানিয়ে ফেলতে পারে। নাম তাই লেজনাচুনে। বৈজ্ঞানিক নাম Rhipidura albicollis. মাপ ১৯ সেন্টিমিটার। এই পাখিটি আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে প্রতি মৌসুমে ২-১০টি বাসা করে। বাসা করত ছোট লেজনাচুনে বা নীলরাজা (Black-naped monarch) পাখিরা। স্বভাবে বাসা বাঁধার কৌশলে এই দুই জাতের পাখির মধ্যে খুবই মিল—মিল আছে খাদ্য তালিকায়ও। এ বছর (২০১১ সালের এপ্রিলে) আমাদের গ্রাম বাগেরহাটের সাতশৈয়ায় এই দুই জাতের বাসা দেখলাম ১৯টি।
লেজনাচুনেদের পছন্দ ছায়া ছায়া মায়া মায়া বনবাগান। এরা সারা দেশেই আছে। খাদ্য মূলত পোকা-মাকড়। বাসা করে খুব সুন্দর। গাছের সরু ডালে বা বাঁশের নুয়ে পড়া কঞ্চিতে। বাসার নিচে লেজের মতো ঝুলে থাকে বাসার উপকরণ। ঝড়ে কঞ্চি-বাসা যতই দোল খাক, বাসার ডিম-ছানা ছিটকে পড়ে না। কেন পড়ে না? কুশলী ও বুদ্ধিমান পাখি এরা। পুরো শরীর কালচে, তাতে হালকা ধূসরের আভা। গলা ও চোখের ভ্রূ সাদা। চোখের পাশটা কালো, লেজের ডগা সাদা। চোখ-ঠোঁট কালো। ডিম পাড়ে তিনটি। ডিম যেন সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া। বাসার চারপাশেও এমন প্রলেপ দেখা যায় কখনো কখনো। আশপাশের কোনো পাখি বিপদে পড়লে এরা সাহায্যে এগিয়ে আসে।
0 comments:
Post a Comment