বাইক্কা বিল থেকে পাওয়া ‘বড়ঠোঁট চুটকি’
ছবি: প্রথম আলো
বাইক্কা বিলে বিরল প্রজাতির এক পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া গেছে। পাখি পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, পাখিটির নাম ‘বড়ঠোঁট চুটকি’। এটি বিশ্বব্যাপী অতিসংকটাপন্ন প্রজাতির একটি পাখি। গত ১০ বছরে থাইল্যান্ডে মাত্র দুটি পাখি দেখা গেছে। তৃতীয়বার দেখা গেল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে’ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের গবেষক দলের পাতা ফাঁদে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এ পাখি ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই পাখি সম্পর্কে খুব একটা তথ্য কারও জানা নেই। গত ১০ বছরে থাইল্যান্ডে দুবার এ প্রজাতির দুটি পাখি দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এর আগে কোথাও এ পাখি দেখা যায়নি। এর ইংরেজি নাম Largebilled Warbler থেকে বাংলায় ‘বড়ঠোঁট চুটকি’ নাম রাখা হয়েছে। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Acrocephalus orinus। মেটে রঙের এ পাখির ওজন ১০ গ্রাম। তবে পাখিটি পরিযায়ী—এটা ধারণা পাওয়া গেছে।’
ইনাম আল হক জানান, বাংলাদেশের নামাঙ্কিত রিং পাখিটির পায়ে পরিয়ে ধরা পড়ার আধঘণ্টার মধ্যেই বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গবেষক দলের অপর সদস্য থাইল্যান্ডের মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ফিলিপ রাউন্ড প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ পাখির দেখা পাওয়ার পর দলের সবাই আনন্দে আত্মহারা। বাইক্কা বিলে আসা আমাদের সার্থক হয়েছে। আর এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে বাইক্কা বিলটি পাখিবৈচিত্র্যের দিক থেকে অনন্য। পৃথিবীতে অনেক অজানা বিষয় রয়েছে। এই পাখি সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। পাখিটির পায়ে রিং পরানোর সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। আর এর পায়ে যে রিং পরানো হয়েছে, এতে বাংলাদেশের নাম রয়েছে। এর মাধ্যমে এ প্রজাতির পাখি সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় বাংলাদেশের নামটি যুক্ত হয়েছে।’
এ বছর শীতের শুরু থেকেই হাইল হাওরের বিভিন্ন বিলে প্রচুর দেশি ও বিদেশি পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় পাখির সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেড়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের ‘বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে’ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের গবেষক দলের পাতা ফাঁদে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এ পাখি ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই পাখি সম্পর্কে খুব একটা তথ্য কারও জানা নেই। গত ১০ বছরে থাইল্যান্ডে দুবার এ প্রজাতির দুটি পাখি দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এর আগে কোথাও এ পাখি দেখা যায়নি। এর ইংরেজি নাম Largebilled Warbler থেকে বাংলায় ‘বড়ঠোঁট চুটকি’ নাম রাখা হয়েছে। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Acrocephalus orinus। মেটে রঙের এ পাখির ওজন ১০ গ্রাম। তবে পাখিটি পরিযায়ী—এটা ধারণা পাওয়া গেছে।’
ইনাম আল হক জানান, বাংলাদেশের নামাঙ্কিত রিং পাখিটির পায়ে পরিয়ে ধরা পড়ার আধঘণ্টার মধ্যেই বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গবেষক দলের অপর সদস্য থাইল্যান্ডের মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ফিলিপ রাউন্ড প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ পাখির দেখা পাওয়ার পর দলের সবাই আনন্দে আত্মহারা। বাইক্কা বিলে আসা আমাদের সার্থক হয়েছে। আর এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে বাইক্কা বিলটি পাখিবৈচিত্র্যের দিক থেকে অনন্য। পৃথিবীতে অনেক অজানা বিষয় রয়েছে। এই পাখি সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। পাখিটির পায়ে রিং পরানোর সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। আর এর পায়ে যে রিং পরানো হয়েছে, এতে বাংলাদেশের নাম রয়েছে। এর মাধ্যমে এ প্রজাতির পাখি সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় বাংলাদেশের নামটি যুক্ত হয়েছে।’
এ বছর শীতের শুরু থেকেই হাইল হাওরের বিভিন্ন বিলে প্রচুর দেশি ও বিদেশি পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় পাখির সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার অনেক বেড়েছে।
0 comments:
Post a Comment