Pages

Ads 468x60px

Tuesday, April 17, 2012

খুঁড়ুলে পেঁচা

খুঁড়ুলে পেঁচা বাংলাদেশে সুলভ আবাসিক পাখি। দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায়। আবাদি জমি, চা-বাগান, গ্রাম, শহর, নগর ও লোকালয়ে বিচরণ করে। সচরাচর জোড়ায় ও পারিবারিক দলে থাকে। রাতের আবছা আলোয় উড়ে এসে শিকার ধরে। খাদ্য তালিকায় আছে উড়ন্ত পোকা, টিকটিকি, ছোট পাখি। 
খুঁড়ুলে পেঁচার শরীরে বাদামি তিলওয়ালা দাগ থাকে। দৈর্ঘ্যে ২০ সেন্টিমিটার। মাথার পালক বাদামি। গলা সাদা, চোখ ফ্যাকাশে থেকে সোনালি হলুদ। ঠোঁট সবুজ, পা ও পায়ের পাতা অনুজ্জ্বল হলদে-সবুজ। ছেলে ও মেয়ে পাখি দেখতে অভিন্ন। প্রজনন সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিল। ডিম সাদাটে, সংখ্যায় তিন-পাঁচটি। ২৫ দিনে ডিম ফোটে। ৩০ দিনে ছানাদের গায়ে পালক গজায়।
Reade more >>

Wednesday, March 21, 2012

দুর্লভ গাঙটিটি

পুরোনো তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদীর তীরে একজোড়া গাঙটিটি পুরোনো তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদীর তীরে একজোড়া গাঙটিটি
ছবি: লেখক প্রথম আলো
‘নদী টিটি’ (River Lapwing বা Spur-winged Lapwing)। এক ধরনের হট্টিটি পাখি। এরা ‘গাঙটিটি’ নামে পরিচিত। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Vanellus duvaucelii. এ দেশের হট্টিটি প্রজাতিগুলোর মধ্যে এরা অত্যন্ত দুর্লভ। বর্তমানে এরা বিপন্নও (Endangered) বটে। মূলত চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে এদের বেশি দেখা যায়। তবে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেও কদাচ দেখা মেলে।
গাঙটিটি পায়রা আকারের পাখি। লম্বায় ২৯-৩২ সেন্টিমিটার। ওজন ১৬৫ গ্রাম। পিঠের রং বেলে-বাদামি। মাথার খোঁপা, মাথা, ঘাড়, মুখমণ্ডল, ঠোঁট ও বুকের ওপরের অংশ কালো। বুক ধূসর-বাদামি। পেট সাদা ও পেটের মাঝখানটা কালো। লেজের শেষ প্রান্ত, পা, আঙুল ও নখ কালো। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম। তবে আকারে পুরুষগুলো খানিকটা বড় হয়। বাচ্চাদের মাথায় সাদা ফোঁটা এবং পিঠে হলুদ ও গাঢ় দাগ থাকে।
এরা নদী ও খাঁড়ির বালুতট এবং নুড়িসমৃদ্ধ এলাকায় বাস করে। সচরাচর একাকী, জোড়ায় বা চার-ছয়টির ছোট দলে বিচরণ করে। নদীর পাড়ে হেঁটে হেঁটে ঠোঁটের সাহায্যে চমৎকার ভঙ্গিতে খাবার সংগ্রহ করে। এরা পা না ভেঙে এমনভাবে বালুর মধ্যে মুখ ডুবিয়ে খাবার খোঁজে যে ভঙ্গিটি দেখতে বেশ হাস্যকর। কীটপতঙ্গ, ছোট ব্যাঙ ও ব্যাঙাচি, কাঁকড়াজাতীয় প্রাণী খায়। ভোরবেলা ও সন্ধ্যার আগে এবং চাঁদনি রাতে বেশ সক্রিয় থাকে। এরা তীক্ষভাবে ‘টিপ-টিপ বা ডিড-ডিড-ডিড’ স্বরে ডাকে।
মার্চ থেকে জুন এদের প্রজনন মৌসুম। নদীর তীরে নুড়ি দিয়ে বাসা বানায়। বাসা মোটেও গভীর নয়। স্ত্রী গাঙটিটি তিন-চারটি জলপাই রঙের ডিম পাড়ে। ডিম আর নুড়ি পাথর মিলেমিশে বেশ একটা ছদ্মবেশ তৈরি করে। আর এভাবেই শত্রুর হাত থেকে ডিম রক্ষা পায়। বাচ্চা ফোটে ২২-২৪ দিনে। পা ও ঠোঁট ছাড়া সদ্য ফোটা বাচ্চাগুলো দেখতে একদম ডিমের রঙের মতো। ফোটার ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই বাচ্চারা মা-বাবার সঙ্গে বাসা ছেড়ে হাঁটা দেয় ও খাবারের অন্বেষণে ঘোরাঘুরি শুরু করে। এদের গায়ের রং এমন যে তা সহজেই পরিবেশের সঙ্গে মিশেমিশে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। বাচ্চাগুলো বিপদের গন্ধ পেলে বা মা-বাবার সংকেত পেলে মুহূর্তের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। বিপন্ন এই গাঙটিটিগুলোকে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথম আলো
Reade more >>

Thursday, March 15, 2012

দুর্লভ শঙ্খশালিক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শঙ্খশালিক ষ লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শঙ্খশালিক ষ লেখক
শঙ্খশালিক বা বামনশালিক (Brahminy starling or mynah) এ দেশের বিভিন্ন প্রজাতির শালিকের মধ্যে এরা অত্যন্ত দুর্লভ। মাথার ওপর ছোট্ট কালো টুপি ও ঝুঁটি থাকায় কালো-মাথা ময়না (Black-headed mynah) নামেও পরিচিত। ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোনো কোনো এলাকার গ্রামীণ পরিবেশে কদাচ দেখা মেলে। শঙ্খশালিকের বৈজ্ঞানিক নাম Sturnus pagodarum।
প্রথম দর্শনে কাঠশালিক মনে হলেও মাথার কালো পালক দেখে সহজেই কাঠশালিক থেকে আলাদা করা যায়। এরা লম্বায় ২০-২২ সেন্টিমিটার। ওজনে ৪০-৫৪ গ্রাম। মাথার পালক ফোলালে ঝুঁটিটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্ত্রীর তুলনায় পুরুষের মাথার টুপি ও ঝুঁটি বড়। এদের চিবুক, ঘাড়, গলা, বুক ও পেট লালচে কমলা রঙের। পিঠ, ডানা ও লেজ ধূসর। লেজের আগা ও নিচটা সাদাটে। ঠোঁটের আগা হলুদ ও গোড়া নীলচে। স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষে পা, পায়ের নালা ও নখ হলুদ। বাচ্চাদের মাথার পালক ধূসর।
শঙ্খশালিক চষা জমি, ঘাসবন, ফলের বাগান, পাতাঝরা বন ও ঝোপ-জঙ্গলময় এলাকা পছন্দ করে। বিচরণ-উপযোগী জায়গা থাকলেও রহস্যজনক কারণে এ দেশে খুব অল্প সংখ্যায় দেখা মেলে। প্রধানত চার-সাতটির ছোট দলে বিচরণ করলেও এ দেশে সাধারণত একাকী বা জোড়ায় চরতে দেখা যায়। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, এরা মানুষের আবাস এলাকা, বাগান, জমিতে ঘোরাফেরা করলেও মানুষের খুব কাছাকাছি আসে না। শঙ্খশালিক পাকা ফল, ফুলের নির্যাস ও কীটপতঙ্গ খেয়ে থাকে। এরা মাটিতে ও ফুল-ফলের গাছে, এমনকি বিচরণরত গরু-মহিষের পেছন পেছন হেঁটে হেঁটে খাবার জোগাড় করে। শঙ্খশালিক ‘গু-উ-উইর-কুরতি-কেউই-আহ’ স্বরে ডাকে।
মে থেকে আগস্ট এদের প্রজননকাল। এরা ১২-২৫ ফুট উচ্চতার মধ্যে জুতসই কোনো গাছের খোঁড়লে বাসা বাঁধে। স্ত্রী শঙ্খশালিক তিন-চারটি হালকা নীল বা নীলচে সবুজ রঙের ডিম পাড়ে। স্ত্রী-পুরুষ মিলে ডিমে তা দেয়। ডিম ফোটে ১২-১৪ দিনে।
Reade more >>

Sunday, March 11, 2012

করুণ সুরের গায়ক পাখি ভ্যাদাটুনি

  • খাবারের সন্ধানে ভ্যাদাটুনি খাবারের সন্ধানে ভ্যাদাটুনি

  • ভ্যাদাটুনির ছানা ভ্যাদাটুনির ছানা
চরিত্রে অতি নিরীহ। চালচলনে একটা ধীরস্থির ভাব। মায়াবী চোখে করুণ চাহনি। স্বভাবে নম্রভদ্র। সব মিলিয়ে একটা বোকাসোকা ধরনের পাখি। নাম তাই ‘ভ্যাদাটুনি’। এটি বাগেরহাটের স্থানীয় নাম। এ নাম প্রাণিবিদ মনিরুল খান তাঁর লেখা একটি বইয়ে উল্লেখ করেছেন। বোকাসোকা ও নরম স্বভাবের জন্য রয়না মাছকে যেমন ‘ভ্যাদামাছ’ বলা হয়, তেমনি এ পাখিকে ভ্যাদাটুনি বলা হয়। নাম যিনি দিয়েছিলেন, তিনি অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। জুতসই নাম। বাগেরহাটে ‘ভ্যাদা’ অর্থ হলো বোকা, নরম, নিরীহ ও গোবেচারা।
এই পাখিকে আমি বলি বাংলাদেশের নাইটিঙ্গেল। চার রকম সুরে গান গাইতে পারে এরা। বাজাতে পারে চমৎকার লম্বা লয়ের শিস। কী রকম মিষ্টি সুরেলা যে গলাটা! কী দারুণ, করুণ! খুব ভোরে এক জায়গায় বসে ডাকবে একটানা অনেকক্ষণ। ভোরের ডাকটা হয় ‘টুইটি-ট-টু-টিট টিট’। গলায় আছে দারুণ কারুকাজ। শুনলে ভালো লাগায় বুক ভরে ওঠে, মন চলে যায় যেন অন্য কোনো জগতে। শৈশবে ঘরে শুয়ে শুনতাম ওদের গান। এখনো, এই ৬০ বছর বয়সেও গ্রামের বাড়িতে গেলে ভোরে শুনি সেই অলৌকিক গান। এ জন্য নিজেকে বড়ই ভাগ্যবান মনে হয়।
ভোরের গান সমাপ্ত করে জোড়া ধরে বেরোবে খাবারের সন্ধানে। অপেক্ষাকৃত নিচু ঝোপঝাড়, নারকেল-সুপারির পাতায় জোড়ায় জোড়ায় ঘুরে অ্যাবোক্র্যাটদের মতো পোকা-পতঙ্গের সন্ধান করবে। খুব কাছে গেলেও ভয় পায় না, ওড়ে না সহজে। এ জন্য ক্বচিৎ এরা পোষা বিড়াল, বেজি ও বনবিড়ালের কবলে পড়ে। সোনাব্যাঙগুলোও লাফ দিয়ে ধরে ফেলে। পানের বরজ এদের অতিপ্রিয় চারণক্ষেত্র। অন্য কোনো পাখির সঙ্গে এরা কখনো ঝগড়া-ফ্যাসাদ করে না।
ভ্যাদাটুনির ছানা
ভ্যাদাটুনির ছানা

গ্রীষ্মকালে বাসা করে নিচু ঝোপঝাড়ের ভেতরে। ডিম প্রায় সময়ই পাড়ে চারটি। ক্বচিৎ পাঁচটি। বাসা বাঁধার গান আছে এদের—আছে ডিম পাড়ার গান। আহা, কী করুণ সুরেলা গান! এরা অনেক সময় এমন সব আশ্চর্য-অবিশ্বাস্য জায়গায় বাসা করে, দেখলে অবাক হতেই হয়।
ভ্যাদাটুনির ইংরেজি নাম Abbott’s Babler। বৈজ্ঞানিক নাম Malacocincla abbotti। মাপ ১৭ সেন্টিমিটার। সারা দেশেই দেখা মেলে এদের। prothom-alo
Reade more >>

হামিং বার্ড

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখিটি হচ্ছে হামিং বার্ড। এর ওজন মাত্র ১.৮ গ্রাম আর দৈর্ঘ্য ৭.৫ সেন্টিমিটার(3.5")। তবে মজার বিষয় হচ্ছে পুরুষ হামিং বার্ড গুলো কিন্তু আকারে মেয়ে হামিং বার্ড থেকে ছোটো হয়ে থাকে। শুধু আকারে নয় আরো পার্থক্য আছে মেয়ে এবং পুরুষ হামিং বার্ডের মধ্যে।
পুরুষ পাখি গুলোর লোম সবুজ রঙের হয়। এদের পাখা গুলো উপরের দিকটা নীল বর্ণের আর শরীরের নিচের দিকটা বেশিরভাগ সময় ধূসর সাদা হয়ে থাকে। অপরদিকে মেয়ে পাখিদের মাথার ওপরের দিকটা নীলচে সবুজ রঙ এর হয়, সরু লেজটিতে থাকে সাদা রঙের ফোটা ফোটা দাগ। হামিং বার্ড যে শুধু তার রঙের জন্য বিখ্যাত তা কিন্তু ভেবো না। ছোটো হলে কি হবে এদের শরীরে কিন্তু অনেক শক্তি আছে। হেলিকপ্টার যত উঁচুতে উড়ে হামিং বার্ডও ঐ উচ্চতায় উঠতে পারে। আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো এরা প্রজাতিভেদে সেকেন্ডে ১২ থেকে ৯০ বার নিজেদের পাখা নাড়াতে পারে। এ কারণেই চোখের পলকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পারে হামিং বার্ড। সাধারণত এদের ওড়ার গতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। মজার ব্যাপার হলো এরা কেবল সামনে নয়, পেছন দিকেও উড়তে পারে।
তবে উঁচুতে উড়তে পারলেও এরা অনান্য পাখিদের মত হাঁটতে পারে না। দেহের আকার ছোটো এবং সেই সঙ্গে তাদের ডানাগুলো বেশ বড়ো হয় বলে হামিং বার্ড বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। খাবার দাবারের বেলায় হামিং বার্ড একটু এগিয়েই রয়েছে অন্য সবার তুলনায়। কারণ এরা সারাদিন খায়। ছোটোগুলো মায়ের দেয়া খাবার খায় আর বড়োগুলো খায় ফুলের মধু। সারাদিন কেবল এই ফুল থেকে ঐ ফুলে ঘুরে বেড়ায় হামিং বার্ড।
আমাদের মতো এদেরও কিন্তু রঙের পছন্দ অপছন্দ আছে। এরা লাল রঙের ফুল বেশি পছন্দ করে। তাই বেশির ভাগ সময় হামিং বার্ড লাল রঙের ফুল থেকেই মধু সংগ্রহ করে থাকে। মধু খাবার সঙ্গে সঙ্গে এরা গাছেরও কিছু উপকার করে দেয়। কারণ হামিং বার্ড যখন ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় তখন এদের পায়ের এবং পাখার সঙ্গে ফুলের রেণু জড়িয়ে যায়। এতে গাছের পরাগায়ণ ভালো হয়। এই কাজগুলো সাধারণত করে থাকে মৌমাছি। মৌমাছির সঙ্গে এদের স্বভাবের মিলের কারণে অনেকেই হামিং বার্ডকে বড়ো মৌমাছি বলে থাকে। হামিং বার্ড দিনে প্রায় ১৫০০ ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে।
বাসা বানানোর ব্যাপারে পুরুষ পাখিগুলোর কোনো মাথাব্যাথা নেই। এই কাজ মেয়ে পাখিগুলোকেই করতে হয়। বাসা তৈরি করার জন্য এরা মাকড়সার জাল, গাছের বাকল এবং বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ব্যবহার করে। বাসার আকার দেখতে হয় ঠিক কাপের মতো। একটি মেয়ে হামিং বার্ড এক সঙ্গে দুইটি ডিম পাড়ে। এদের ডিমগুলো এতই ছোটো যে দেখলে শস্য দানা মনে হয়। মা পাখিটি ডিমগুলো তার ছোট্ট বাসায় রাখে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো এই পাখিটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এদের গড় আয়ু ৩ থেকে ৫ বছর হয়।
লিখেছেনঃ সুমনা হক
ছবিঃ Rutgers Leslie & Google Search Result
Reade more >>

আবাবিল পাখি

আবাবিল এক ধরনের ফূর্তিবাজ পাখি। দল বেধে ঝাকে ঝাকে উড়ে বেড়ায় ও বাসার কাছে কিচিরমিচির করতে থাকে। সংগে সঙ্গে পোকা মাকর ধরেও খায়। তবে অন্যাণ্য পাখির মত বনে জঙ্গলের ডাল পালা হতে পোকা খুজে বেড়ায় না। উড়তে উড়তেই শিকার ধরে। বৃষ্টির সময় উড়ে উড়ে স্নান করা আর জল খাওয়াই এদের স্বভাব।
অনেকে এদের তালচোচ বলে মনে করে, কিন্তু তালচোচ আর আবাবিল এক ধরনের নয়। গায়ের রং এক হলেও নখ, চেহারা ও বাসা তালচোচের তুলনায় স্বতন্ত্র। তালচোচরা গাছের ডালে বসতে পারেনা তবে আবাবিলরা ডলে বসে এবং দরকার হলে মাটিতে হেটে বেড়ায়।


এদের পিঠের রং কালো বা নীলচে, বুক ও পেটের রং কোন কোন প্রজাতির হলদেটে আবার কোনটির সাদাটে। লেজে সাদা ফুটকি আছে আর মুখ ও গলা কিছুটা খয়েরী রঙের পালকে ঢাকা থাকে। এরা বাড়ীর কড়ি কাঠে বা কার্নিশে কাদা দিয়ে বাসা বানায় আর কাদার উপর ঝরা পালক লাগিয়ে দেয় যা দেখতে খুবই সুন্দর। এরা দল বেধে থাকতে পছন্দ করে ও এক জায়গায় বাসা তৈরী করে।
আবাবিলরা বেশী শীত সহ্য করতে পারেনা তাই শীত এলেই গরমের দেশে পালিয়ে যায় তারপর গ্রীষ্ম এলে আবার স্বদেশে ফিরে আসে।
এরা সাদা ও লালচে দুই রকমের ডিম পারে, কখনও কখনও ডিমের ইপর গাঢ় ছিটে ফোটাও দেখা যায়।
এদের ইংরেজী নাম  swallow বা martin বলে।আর বৈজ্ঞানিক নাম Hirundo Rustica এরা লম্বায় প্রায় ১৮ সে.মি. হয়।
ভারতবর্ষে প্রায় ২০ প্রজাতীর আবাবিল দেখা যায়। বিভিন্ন গনের উপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বে ৮৪ ধরণের আবাবিল দেখা যায়।যেমন_ Barn Swallow, Red-rumped Swallow, Sand Martin, Lesser Striped SwallowTree Swallow, Cliff Swallows, Welcome Swallow, Purple Martin, Black Saw-wing,  ইত্যাদি। নকুটি নামে এক ধরনের খয়েরী রঙের ছোট আবাবিল নদীর ধারে খুব দেখা যায় যা দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মত।







Chicks and eggs in a nest with horse hair lining





A male



Reade more >>

Monday, January 23, 2012

মদনটাকের ঘরে নতুন অতিথি

সদ্যোজাত ছানার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা মদনটাক। ছবিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থ সদ্যোজাত ছানার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে মা মদনটাক। ছবিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে তুলেছেন জাহিদুল করিম
নতুন বছরের শুরুতেই নতুন অতিথি এসেছে ঢাকা চিড়িয়াখানায়। ডিম ফুটে এক জোড়া বাচ্চা হয়েছে মদনটাক দম্পতির। বাবা-মায়ের আদরে বেশ ভালো আছে ছানা দুটো।
এই মদনটাক দম্পতি ঢাকা চিড়িয়াখানায় আছে ১৯৯৭ সাল থেকে। এবারই প্রথম এদের উত্তর প্রজন্ম ঘরে এল। গত বছর ১১ ডিসেম্বর স্ত্রী মদনটাক ডিম দেয় এবং এ বছর ৯ জানুয়ারি ডিম ফুটে ছানা দুটোর জন্ম। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এ বি এম শহীদ উল্লাহ জানান, চিড়িয়াখানায় মদনটাকের ছানা হওয়ার ঘটনা এ-ই প্রথম। মদনটাক স্বল্প জলাভূমিতে চরে বেড়ায়। প্রধান খাদ্য মাছ। এদের বৈজ্ঞানিক নাম Lesser Adjutant। মদনটাক এখন সুন্দরবন এলাকায়ই কিছু টিকে আছে। সারা দেশে এদের তেমন চোখে পড়ে না, অস্তিত্ব বিপন্নের পর্যায়ে। মদনটাক বাংলাদেশে টিকে থাকা পাখিগুলোর মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়।
ছানা দুটির গায়ে এখন পালক গজাতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে ছোট মাছ খেলেও এখন এরা টাকি, নলা মাছের পাশাপাশি শামুক-গুগলিও খেতে শিখেছে।
কিউরেটর জানান, ২০১১ সাল ছিল চিড়িয়াখানায় পাখি ও প্রাণীদের প্রজননের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল বছর। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ প্রজাতির প্রাণী ও পাখির ৮০টি বাচ্চা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণীর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো: বাঘ, জলহস্তি, মেছোবাঘ, হনুমান, বানর এবং পাখির মধ্যে উটপাখি, নীল ময়ূর, সাদা ময়ূর ইত্যাদি। সব বাচ্চাই ভালোভাবে রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ছানা ও শাবকের দাম প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে ২০১১ সালেই চিড়িয়াখানায় পাখি-প্রাণীর প্রজনন ও বাচ্চাদের টিকে থাকার হার সবচেয়ে বেশি।
গতকাল সোমবার দুপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, মা মদনটাক চঞ্চুতে মাছের টুকরো নিয়ে ছানাদের মুখে তুলে দিচ্ছে। ডানা ঝাপটে টলমলে পায়ে দাঁড়িয়ে মায়ের মুখ থেকে খাবার খাচ্ছে ছানারা। পরমানন্দ নিয়ে পাখিদের অপত্যস্নেহের দৃশ্যটি উপভোগ করছেন দর্শকেরা। নানার সঙ্গে সাত বছরের রিজমি নোয়াখালী থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছিল বাঘ-ভালুক দেখতে। কিন্তু এখানে এসে এত্ত বড় এক পাখির ছানাদের মায়ের ঠোঁট থেকে মাছ খেতে দেখে সে খুবই খুশি। prothom-alo
Reade more >>

Monday, January 16, 2012

নিমশাখায় সবুজ বাঁশপাতি

নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা নিমের শাখায় বসে আছে সবুজ বাঁশপাতি। মুন্সিগঞ্জ জেলার রিকাবীবাজার থেকে তোলা
ছবি: লেখক

পাখিটার নাম সবুজ বাঁশপাতি। অঞ্চলভেদে লোকে সুইচোরা, নরুন চেরা—এসব নামেও ডাকে। পাখিটার ইংরেজি নাম Green Bee-eater। বৈজ্ঞানিক নাম Merops Orientalis। পাখি গবেষকদের মতে, এরা মেরোপিদি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এরা লম্বায় ২০ সেন্টিমিটার। ছিপছিপে গড়ন। গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল সবুজ। চঞ্চু কালো, একটু বাঁকানো। চোখের দুই পাশে কাজলরেখা ঘাড়ের সঙ্গে মিশেছে। চিবুক ও গলায় নীলের ছটা। গলার নিচে আছে নেকলেসের মতো একটা কালো টান। মাথা ও পিঠের ওপর অংশের পালক সোনালি। ডানার নিচে উজ্জ্বল তামাটে, যা শুধু ওড়াউড়ির সময়ে নজরে পড়ে। পায়ের রং কালচে। লেজের মাঝবরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত থাকে। পাখিটার মূল আকর্ষণ সেটাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পাখির লেজের অংশটুকু ডালের নিচ দিয়ে নেমে থাকায় তা ক্যামেরায় বন্দী করতে পারিনি। আমাদের দেশে সাধারণত চার প্রকারের বাঁশপাতি দেখা যায়—সবুজ বাঁশপাতি, পিঙ্গল মাথা বাঁশপাতি, নীললেজা বাঁশপাতি ও পাহাড়ি বড় বাঁশপাতি।
বাঁশপাতি মূলত মাছিভুক পাখি (অন্য পতঙ্গও খায়)। পতঙ্গ পাকড়ানোর কৌশল বেশ চমকপ্রদ। উড়ে গিয়ে খপ করে ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে গিলে ফেলে।
বাঁশপাতি শীতকালে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসে। বিদ্যুতের তারে অথবা শুকনো কঞ্চিতে ঘুরপাক খেতে খেতে এসে বসেই আবার উড়তে থাকে। বড় চঞ্চল। দলবদ্ধভাবে বাস করে। এদের প্রজনন সময় শীতের শেষে। বাঁশপাতি গাছে বাসা বানাতে পারে না। সাধারণত নদীর পাড়ে খাড়া জায়গায় সুড়ঙ্গের মতো গর্ত করে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ৫-৭টি। রং ধবধবে সাদা। স্ত্রী-পুরুষ দুয়ে মিলে ২১-২৭ দিন ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। prothom-alo
Reade more >>