দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া নীল সারস
এএফপি
শীত থেকে বাঁচতে পরিযায়ী পাখিরা ছোটে দূরদেশে, যেখানে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করা যাবে। এ জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় হাজার হাজার মাইল। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ক্লান্ত পাখিগুলো যাও-বা ঠিকানা খুঁজে পায়, অনেক পাখিই প্রাণ হারায় বিদ্যুতের তারে ঝুলে থাকা মৃত্যুফাঁদে পড়ে।
নরওয়ের বেরগেনে ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরিযায়ী পাখি নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘কনভেনশন অন মাইগ্রেটরি স্পেসিজ’ শীর্ষক সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সাত কোটি কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের তার টানা রয়েছে। শুধু আফ্রিকা ও ইউরেশিয়াতেই প্রতিবছর কয়েক লাখ পাখি এই বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
সম্মেলনে ডাচ্ পাখি গবেষক হেইন প্রিনসেন বলেন, শিকার ছাড়াও বিদ্যুতের তারের স্পর্শে অনেক পাখি মারা যায়। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও মানুষের ধ্বংসযজ্ঞের কারণে পরিযায়ী পাখির অনেক আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণে এই পাখির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
গবেষকদের মতে, অনেক প্রজাতির পাখি আছে, যেগুলোর বংশবৃদ্ধির হার কমে গেছে। তার ওপর এভাবে পাখি মারা যেতে থাকলে অনেক পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রজাতির সারসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি প্রাপ্তবয়স্ক সারস মারা গেলে খাবারের অভাবে এটির ছানাও মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রটেকশন অব বার্ডসের সাবেক সদস্য জন ও’ সুলিভান বলেন, খুব শিগগির ভারত ও আফ্রিকায় সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এই দুটি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। অথচ এখানে পাখির বাসও তুলনামূলক অনেক বেশি। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রচুর নীল সারস মারা যাচ্ছে। এভাবে বছরে প্রায় ১২ শতাংশ সারস হারিয়ে যাচ্ছে। এএফপি। prothom-alo
নরওয়ের বেরগেনে ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরিযায়ী পাখি নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘কনভেনশন অন মাইগ্রেটরি স্পেসিজ’ শীর্ষক সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সাত কোটি কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের তার টানা রয়েছে। শুধু আফ্রিকা ও ইউরেশিয়াতেই প্রতিবছর কয়েক লাখ পাখি এই বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
সম্মেলনে ডাচ্ পাখি গবেষক হেইন প্রিনসেন বলেন, শিকার ছাড়াও বিদ্যুতের তারের স্পর্শে অনেক পাখি মারা যায়। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও মানুষের ধ্বংসযজ্ঞের কারণে পরিযায়ী পাখির অনেক আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণে এই পাখির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
গবেষকদের মতে, অনেক প্রজাতির পাখি আছে, যেগুলোর বংশবৃদ্ধির হার কমে গেছে। তার ওপর এভাবে পাখি মারা যেতে থাকলে অনেক পাখির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রজাতির সারসের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি প্রাপ্তবয়স্ক সারস মারা গেলে খাবারের অভাবে এটির ছানাও মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রটেকশন অব বার্ডসের সাবেক সদস্য জন ও’ সুলিভান বলেন, খুব শিগগির ভারত ও আফ্রিকায় সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এই দুটি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। অথচ এখানে পাখির বাসও তুলনামূলক অনেক বেশি। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রচুর নীল সারস মারা যাচ্ছে। এভাবে বছরে প্রায় ১২ শতাংশ সারস হারিয়ে যাচ্ছে। এএফপি। prothom-alo